ফারুক: আমার মনে হয়, যাঁরা দুর্নীতি করেন, তাঁদের গ্রুপিংটা খুব শক্তিশালী হয় এবং তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি একত্র হয়ে যেতে পারেন। কারণ, তাঁদের গোল ‘কমন’। আপনি যখন একটা স্রোতের বিরুদ্ধে একা লড়াই করবেন, তখন তো এসবের সঙ্গে পারবেন না। আজকে যদি আমি পাশে অন্তত তিন-চারজন মানুষও পেতাম, এত কঠিন হতো না আমার জন্য। অন্তত খবর পেতাম, কী হচ্ছে বোর্ডে। যাঁরা এই বিষয়টা মঞ্চস্থ করেছেন, তাঁরা হয়তো সরকারকে বোঝাতে সামর্থ্য হয়েছেন যে বোর্ড যে ঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না, সে জন্য আমি এককভাবে দায়ী। আমার মনে হয়, ক্রীড়া উপদেষ্টা বিষয়টা নিয়ে আরেকটু চিন্তা করলে ভালো হতো। যত দ্রুততার সঙ্গে আমি অপসারিত হলাম, এত দ্রুততার সঙ্গে উনি যদি পাঁচ-ছয় মাস আগে এই তিন-চারজন পরিচালককে বলে দিতেন আমাকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে, তাহলে বোর্ডের জন্য ভালো হতো, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও ভালো হতো। অথচ জিনিসটা বিপরীত হলো। কাজেই এটার কারণ এ মুহূর্তে আমার পক্ষে বলাটা খুব কঠিন। আমি কিছু জায়গায় স্বচ্ছতা আনতে চেয়েছি, সেটা হয়তো একটা কারণ। আপনারা জানেন, বিরাট একটা দুর্নীতি হয়েছে আমাদের থার্ড ডিভিশন কোয়ালিফাইংয়ে, যেটাকে বিসিবির নির্বাচনে আমরা ভোটব্যাংক বলি। গত কয়েক বছরে ১৫টা ক্লাবকে তাঁরা এক শ ভাগ অন্যায়ভাবে ওপরে উঠিয়েছেন। এখন তাঁরা সবাই কাউন্সিলর, ভোটার। আরেকটা হলো আমার সময়ে দুদক বিসিবির বিগত সময়ের অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে, যাতে অনেকের সমস্যা হতে পারে। আমি শুনেছি, যখন দুদক এল, তখন একজন পরিচালক বলেছেন, দুদক যা চাইবে, সব দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু আমি বলেছি, পুরো সহযোগিতা করো দুদককে।